Breaking News
recent

মাহে রমযান : তাৎপর্য ও কর্তব্য:::::: পর্ব-১


মাহে রমযান : তাৎপর্য কর্তব্য

[ বাংলা – Bengali – بنغالي ]
আলী হাসান তৈয়ব


সম্পাদনা : . মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
 
﴿ شهر رمضان: حِكَم ومهام
« باللغة البنغالية »

علي حسن طيب

مراجعة: الدكتور محمد منظور إلهي


রমযানে সিয়াম সাধনা : কর্তব্য তাৎপর্য
সাওম ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ আরবী সাওম শব্দটি আমাদের দেশে রোযা নামে সমধিক পরিচিত, যা মূলত ফারসী শব্দ সাওম অর্থ বিরত থাকা যেহেতু পানাহার যৌন সম্পর্ক সাধারণত প্রবৃত্তির লিপ্সা খাহেশাতের লালসাকে উদ্দীপ্ত করে তাই ইসলাম সাওমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে থাকে কিন্তু সাওমের মূল লক্ষ্য কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভ করতে হলে, অবশ্যই বৈধ পানাহার স্ত্রীর সঙ্গে যৌনক্রিয়া থেকে বিরত থাকার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্য সব ধরনের পাপাচার অপ্রকাশ্য মন্দাচার থেকেও অন্তর দেহ তথা সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে রক্ষা করতে হবে এদিকে ইঙ্গিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে)
«مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ وَالْجَهْلَ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ».
যে ব্যক্তি সাওম পালন করতে গিয়ে মিথ্যা কথা মিথ্যা কথা মত কাজ করা এবং মূর্খতা (সুলভ আচরণ) থেকে বিরত থাকলো না, তার খাদ্য পানীয় ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই [বুখারী : ১৯০৩; আবূ দাউদ : ২৩৬৪]





«مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ وَالْجَهْلَ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ».
যে ব্যক্তি সাওম পালন করতে গিয়ে মিথ্যা কথা মিথ্যা কথা মত কাজ করা এবং মূর্খতা (সুলভ আচরণ) থেকে বিরত থাকলো না, তার খাদ্য পানীয় ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই [বুখারী : ১৯০৩; আবূ দাউদ : ২৩৬৪]
 
জীবন ধারণের স্বার্থেই পানাহার সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা সম্ভব নয় তাই চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে মাত্র কয়েক ঘন্টা সাওম পালনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে আবার শিশুদেরকে এর আওতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে অক্ষম-বৃদ্ধদের জন্য ফিদয়া অবকাশ রাখা হয়েছে মুসাফির, অসুস্থ সন্তান প্রসব, স্তন্যদান ঋতুকালে নারীদের প্রতি লক্ষ্য রেখে উযর দূর হওয়ার পর কাযা মত বিকল্প রাখা হয়েছে ইরশাদ হয়েছে,
﴿ أَيَّامٗا مَّعۡدُودَٰتٖۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۚ وَعَلَى ٱلَّذِينَ يُطِيقُونَهُۥ فِدۡيَةٞ طَعَامُ مِسۡكِينٖۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيۡرٗا فَهُوَ خَيۡرٞ لَّهُۥۚ وَأَن تَصُومُواْ خَيۡرٞ لَّكُمۡ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ١٨٤ شَهۡرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلۡقُرۡءَانُ هُدٗى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٖ مِّنَ ٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡفُرۡقَانِۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ وَلِتُكۡمِلُواْ ٱلۡعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمۡ وَلَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ١٨٥ ﴾ [البقرة: ١٨٤،  ١٨٥] 
নির্দিষ্ট কয়েক দিন তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৪-১৮৫}
Md Abu Raihan Siddik

Md Abu Raihan Siddik

No comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.